ভাত বারবার গরম করে খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে ডায়রিয়াও। ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, বাসি ভাত গরম করে খেলে কার্ডিওভ্যাসকুলার অর্থাৎ হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। কার্বোহাইড্রেটের মূল উৎস হচ্ছে ভাত।
বৃষ্টির পানি পানের নিরাপদ কৌশলঃ
বর্ষাকালে এখনও অনেকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। এই পানি মুলত গৃহস্থালির নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে বৃষ্টির পানি পান করার কথা বেশিরভাগ মানুষই চিন্তা করেন না। তবে প্রাচীন আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, প্রতিদিনই বৃষ্টির পানি খেতে পারেন। এই পানি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রেখা রাধামণি বৃষ্টির পানি পানে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় তা জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস নাও’য়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে সেসব উপকারিতার কথা। পাশাপাশি এই পানি পানের ক্ষেত্রে কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে তাও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
- কখন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করবেন: কয়েকদিন অনবরত বৃষ্টি পড়লে তখন সেই পানি সংরক্ষণ করুন।
- সঠিক পাত্রে পানি রাখুন: বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার জন্য তামার পাত্র সবচেয়ে ভালো।
- বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের প্রক্রিয়া: বৃষ্টির ১ ঘণ্টা পরে পানি সংরক্ষণ করুন। উপরে পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন সেই পানি ফুটিয়ে খেতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রেখা রাধামণির কথায়, বৃষ্টির পানি অনেকটা মধুর মতো।
বৃষ্টির পানি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়ঃ
১. বৃষ্টির পানিতে থাকা অ্যালকালাইন অ্যাসিডিটি কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়।
২. বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা অ্যালকালাইন পিএইচ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।
৩. সংরক্ষণ করে রাখা বৃষ্টির পানি ২-৩ চামচ খেলে পাকস্থলীর সমস্যা দূর হয়।
৪. বৃষ্টির পানিতে ঘামাচি দূর হয়। ত্বকের জ্বালাভাব কমে।
৫. বৃষ্টির পানি ত্বক ও চুলের জন্য ভাল।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রেখা রাধামণির মতে, শুধুমাত্র বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি খাওয়া উচিত। তবে খুব দূষিত এলাকায় থাকলে বৃষ্টির পানি খাওয়া ঠিক নয় ।
খালি পেটে খাবেন না যেসব খাবার
অনেক সময় ভীষণ খিদে পেলে আমরা যা সামনে পাই, তাই খাওয়া শুরু করি। তবে কোনো কোনো খাবার খালি পেটে খেলে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। জেনে নিন খালি পেটে খাবেন না যেসব খাবার।
১. পেয়ারা: পেয়ারা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল।তবে পুষ্টিকর এই ফলটি খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। সকালে খালি পেটে পেয়ারা খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে। হতে পারে পেট ফাঁপা কিংবা গ্যাসের সমস্যা।
২. দই: খাবার হজম করতে সাহায্য করে দই। তাই খালি পেটে দই খাওয়া উচিত নয়। এতে উল্টো অ্যাসিডিটি হতে পারে।দুপুরে খাওয়ার পর এক বাটি টক দই খেলে হজম ভালো হয়, পেট পরিষ্কার থাকে।
৩. আপেল: খালি পেটে আপেল খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সকালের নাস্তায় যদি আপেল রাখতেই চান তবে তা সবার শেষে খান। তার আগে পেট ভরে অন্য খাবার খেয়ে নিন।
৪. চা/কফি: সকালে এক কাপ গরম গরম চা/কফিতে চুমুক না দিয়ে দিন শুরু করতে পারে না অনেকেই। তবে, জানেন কি, এটা সরাসরি আপনার শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। চা/কফিতে থাকা ক্যাফেইনের কারণে হতে পারে গ্যাসের সমস্যা। তাই সকালের নাস্তা খাওয়ার পরই চা/কফি খান।
৫. টমেটো: খালি পেটে কখনোই টমেটো খাবেন না। এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।অনেকেই রাতে মূল খাবার হিসেবে শুধু সালাদ খান। এক্ষেত্রেও গাজর, শসা, লেটুস দিয়ে সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।