দুধ সুষম খাদ্যের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে দুধ। এটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি ও প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী পানীয়।
দুধ পানে পুষ্টিগুন:
দুধে আছে প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি১২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান পেশিকে মজবুত ও শক্ত করে। পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দুধ পান করা শরীরের জন্য ভালো। তবে সঠিক পুষ্টি পেতে নিয়ম মেনে দুধ পান করতে হবে। এক কাপ (২৪৪ গ্রাম) গরুর দুধে ক্যালোরি ১৪৬, প্রোটিন ৮ গ্রাম, চর্বি ৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ শতাংশ, ভিটামিন ডি ২৪ শতাংশ, রিবোফ্লাভিন (B2) ২৬ শতাংশ, ভিটামিন বি ১২- ১৮ শতাংশ, পটাসিয়াম ১০ শতাংশ, ফসফরাস ২২ শতাংশ, সেলেনিয়াম ১৩ শতাংশ রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
দুধ পানের নিয়মাবলীঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার পরপরই দুধ পান করা উচিত নয়। এর পাশাপাশি দুধ খাওয়ার আগে টক জিনিস বা ফল, দই, টক জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না । এটি করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে, খাবার খাওয়ার ৪০ মিনিট পর দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে।
পাতলা নাকি ঘন দুধ শরীরের জন্য উপকারীঃ
আপনি ৫০০মিলি লিটার দুধে চাইলে ৫০০ মিলি পানি মিশালে পানির পরিমাণ দুধের গুণগত মানের কোনো পরিবর্তন করবে না। এক কথায় পানি মিশিয়ে পান করলে দুধের গুণগত মানের কোন পার্থক্য হয় না।শুধুমাত্র দুধের স্বাদ এর পার্থক্য হয়ে থাকে।
যাদের সরাসরি দুধ পান নিষেধঃ
বিশেষত ফ্যাটি লিভারের রোগীদের দুধ খাওয়া নিষেধ তাদেরকে অবশ্যই ছানা বা টক দই মাঝেমধ্যে দেওয়া যেতে পারে। ফেটি লিভার রোগীদের দুধের মধ্যে জল মিশিয়ে হালকা করে মাঝেমধ্যে দেওয়া যেতে পারে।
দুধ ঠাণ্ডা নাকি গরম খাবেনঃ
ঠান্ডা দুধের চেয়ে গরম দুধ পান করাই ভালো। গরম দুধ হজমে সাহায্য করে।
পানের পরিমাণঃ
অতিরিক্ত দুধ পান করবেন না। দিনে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটারই যথেষ্ট।
দুধ পান করার সঠিক সময়ঃ
১. সকালের নাস্তায় বেশি প্রোটিন পেতে চাইলে সকালে দুধ পান করতে পারেন।
২. সকালে ব্যায়াম করতে চাইলে, সকালে দুধ পান করুন। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম পাবেন। আপনার হাড় ও পেশির বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন জরুরি।
৩. ঘুমের সমস্যা হলে এবং ভালোভাবে ঘুমাতে চাইলে, রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এটি ঘুমাতে সাহায্য করবে।
৪. সারাদিন পরিশ্রমের পর ক্লান্ত লাগলে রাতে দুধ পান করুন। দুধের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। এটি মস্তিষ্কের সেরোটোনিনের হরমোর নিঃসরণে সাহায্য করে। শরীর শিথিল রাখে।
অনেকে খাঁটি গরুর দুধের সঙ্গে চিনি বা গুড় মেশানো পছন্দ করে না তারা শুধু দুধ পান করে। কিন্তু দুধের সঙ্গে একটু গুড় মেশালে পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। দীর্ঘদিন চিনি বা গুড় ছাড়া দুধ পান করলে পরিপাক ক্রিয়া সমস্যা হতে পারে। বিশেষত শিশুদের দুধের সঙ্গে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে একটু মিস্ত্রি মিলিয়ে খাওয়ালে সসবচেয়ে ভালো।
গ্রামীন একটি প্রবাদ আছে,যার বাড়িতে একটি গাভী আছে তার বাড়ীতে একজন এমবিবিএস ডাক্তার আছে।